Ananta Mehedi Pata Dekhecho Poem is the latest Bengali Song Sung by Munmun Mukherjee. Music Composed by Munmun Mukherjee. Ananta Mehedi Pata Dekhecho Poem Lyrics In Bengali Written by Abul Hossain Khokon and Song Programming Arrangements, Mixing and Mastering By Kaushik Som.
Poem : Ananta Mehedi Pata Dekhecho
Recited by : Munmun Mukherjee
Writer : Abul Hossain Khokon
Recrding & Mixing : Kaushik Som
Camera : Prasenjeet
Edit : Soumyadip
Ananta Mehedi Pata Dekhecho Poem In Bengali :
Ananta mehedi pata dekhecho nishchoi
Upore sobuj bhetore roktakto laal
Nijeke aajkal
Boro beshi mehedi patar moto mone hoy
Upore ami othocho bhitore koster jontronar
Emon sob boro boro gorto
Je taar samne darate nijeri boro bhoy hoy
Anonto
অনন্ত মেহিদি পাতা দেখেছ নিশ্চয় কবিতা – আবুল হোসাইন খোকন :
অনন্ত, মেহেদি পাতা দেখেছ নিশ্চয় ?
উপরে সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত লাল
নিজেকে আজকাল
বড় বেশি মেহেদি পাতার মতো মনে হয়,
উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রনার-
এমন সব বড় বড় গর্ত
যে তার সামনে দাড়াতে নিজেরী বড়ো ভয় হয়, অনন্ত।
তুমি কেমন আছো ?
বিরক্ত হচ্ছ না তো ?
ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে দিতে পারে
সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত-
আমার জানা ছিলো না।
তোমার উদ্দাম ভালোবাসার দূতি-
জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে
আমার ভিতর- আমার বাহির
আমারই হাতে গড়া আমার পৃথিবী।
অনন্ত, যে মিথিলা সুখী হবে বলে-
ভালোবাসার পূর্ণ চন্দ্র গিলে খেয়ে
ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেল,
আজন্ম শূন্য, অনন্তকে আরো শূন্য করে দিয়ে-
তার মুখে এসব কথা মানায় না আমি জানি।
কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি না
আমার চারদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করছে
আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত।
উদাস দুপুরে বাতাসে শিষ দেয়
তোমার সেই ভালোবাসা,
পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতোন-
তোমার স্বৃতি।
আমি আগলাতেও পারি না,
আমি ফেলতেও পারি না।
সুখী হতে চেয়ে এখন দেখি
দাঁড়িয়ে আছি একলা আমি,
কষ্টের তুষার পাহাড়ে।
অনন্ত, তোমার সামনে দাড়ানোর কোন
যোগ্যতাই আজ আমার অবশিষ্ট নেই।
তবুও,
তবুও তুমি একদিন বলেছিলে-
ভেজা মেঘের মতো-
অবুজ আকাশে উড়তে উড়তে-
জীবনের সুতোয় টান পড়ে যদি কখনো?
চলে এসো, চলে এসো-
বুক পেতে দেবো আকাশ বানাবো
আর হাসনা হেনা ফুটাবো,
সুতোয় আমার টান পড়েছে অনন্ত
তাই আজ আমার সবকিছু,
আমার এক রোখা জেদ,
তুমি হীন সুখী হওয়ার অলীক স্বপ্ন
সব, সব, সবকিছু
সবকিছু জলাঞ্জলী দিয়ে
তোমার সামনে আমি নতজানু।
আমায় তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও
কথা দিচ্ছি-
তোমার অমর্যাদা হবে না আর কখনো ।
অনন্ত, আমি জানি-
এখন তুমি একলা পাষান কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও,
প্রচন্ড এক অভিমানে-
ক্ষনে ক্ষনে গর্জে ওঠে অগ্নিগিরি,
কেউ জানে না, আমি জানি-
কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না,
ঘরের মাঝে ঘর থাকে না,
উঠোন জোড়ার উপর কলস-
তুলসি তলের ঝরা পাতা,
কুয়ো তলার শূন্য বালতি-
বাসন-কোসন, পূর্নিমা-অমাবস্যা
একলা ঘরে এই অনন্ত-
একা একা শুয়ে থাকা
কেউ জানে না, আমি জানি,
কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে-
সব হরিয়ে বুকের তলের চিতানলে-
কেন তুমি নষ্ট হলে?
কার বিহনে চুপি চুপি, ধীরে ধীরে-
কেউ জানে না, কেউ জানে না,
আমি জানি, আমিই জানি।
অনন্ত, আগামি শনিবার ভোরের ট্রেনে
তোমার কাছে আসছি,
আমার আর কিছু না দাও
অন্তত শাস্তিটুকু দিও।
ভালো থেকো !
তোমারি হারিয়ে যাওয়া মিথিলা।
Post a Comment